...
Wednesday, August 20, 2025,

Cricket: হোম অ্যাডভান্টেজ! “ভেজ” না “ননভেজ “?

Total Views: 62

দীপঙ্কর গুহ ( এডিটর ইন চিফ) :

কলকাতা: বড্ড বেশি যেন শুনছি এই শব্দ দুটো । “ হোম অ্যাডভান্টেজ”। জানি, এটা আপনারাও শুনছেন- আপনারাও পড়ছেন। এমনকি এই ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনারাও অংশ নিচ্ছেন। নিজেদের বক্তব্য লিখে দিচ্ছেন কমেন্ট সেকশনে। “ হোম অ্যাডভান্টেজ” – শব্দটার দিকে এক পলকে চেয়েছিলাম। ভাবছিলাম একটু অন্যভাবে। আচ্ছা হোম, মানে – বাড়ি। আর অ্যাডভান্টেজ মানে? – বাড়তি সুবিধা। পুরো কথাটার মানে দাঁড়ালো – বাড়িতে বাড়তি সুবিধা। ক্রিকেট মাঠ আর জীবনের মাঠে এই শব্দ দুটি একটু অদ্ভুতভাবে হাত ধরা ধরি করে চলে! আগে ক্রিকেটটা নিয়েই বলি। থুরি , এ নিয়ে বলার চেয়ে – বলা ভালো, আমি ভাবতে গিয়ে কি কি পেলাম – সেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।

এই দুই শব্দের দাপট শুরু আইপিএলের ইডেন ম্যাচ দিয়ে। কলকাতার দল কেকেআর। তাদের প্রথম ম্যাচ ইডেনে খেললো, কিন্তু জিততে পেল না। ইডেন মেতে ছিল বিরাট কোহলিতে। আর বিরাটের আরসিবি ম্যাচ জিতে নিল। টুর্নামেন্ট শুরু হার দিয়ে। পরের ম্যাচ কেকেআর খেললো গুয়াহাটিতে। প্রতিপক্ষ এবার রাজস্থান রয়্যালস। অ্যাওয়ে ম্যাচ। এল জয়। আর তখনই শুরু হয়ে গেল এই হায় হায় রব। দুই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলতে শুরু করলেন – কেন কেকেআর ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে না। ইডেনে ম্যাচ হারার পর সাংবাদিকদের সামনে দলের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে কি বলেছিলেন? – বলেছিলেন, আরেকটু স্পিনাররা সাহায্য পেলে ভালো হত। অর্থাৎ আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন, যেমনটা তারা চেয়েছিলেন তেমনটা এই ২২ গজ স্পিনারদের সাহায্য করেনি। মোটা টাকা দিয়ে দলের তিনজন স্পিনার রাখা হয়েছে। তারাই নাকি ম্যাচ উইনার। এই কারণেই গুয়াহাটিতে জয় এসেছে , কলকাতায় আসেনি। এর সঙ্গে একই সুরে তাল মেলালেন বাংলারই এক প্রাক্তন ক্রিকেটার (যিনি বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করে দেখান, তিনি টিভি সম্প্রচার স্টুডিওতে বসে কিরকম নাটকীয়তার সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্লেষকের কাজ করছেন ! ) । সোশ্যাল মিডিয়া পারদ চড়তে শুরু করল। প্রচার মাধ্যমও ঝাঁপিয়ে পড়ল। এবার তো খোদ মুম্বইতে কিং খানের নিজের শহরে ( শাহরুখ এই শহরে থাকেন, আর রোজকার কাজ করবার এখানেই) আবার বাড়ি ( হোম) ফিরেছে কে কে আর। এখনই কিন্তু বলা যাচ্ছে না: কেকেআর হ্যায় তৈয়ার।

আর এরই মধ্যে ইডেনের কিউরেটর অভিজ্ঞ সুজন মুখার্জী তিনি আবার বলে বসেছেন ( প্রচার মাধ্যমের দাবি) , “ আমাকে দিয়ে যেমন তেমন উইকেট বানানো যাবেনা।” সমাজ মাধ্যমে ব্যাপক ট্রোলিং। সুজন বাবুর চাকরি কেড়ে নেয়া উচিত এমন প্রস্তাবও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। “#shameoncab” – এমন হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং সেট হয়ে গিয়েছিল এক্স হ্যান্ডেলে। মুম্বইয়ে পৌঁছে সুনীল নারিনকে সঙ্গে নিয়ে এই কেকেআর দলের কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত একটু ঘুরিয়ে বলে বসেছিলেন “নিজেদের ঘরের মাঠে নিজেদের পছন্দমত উইকেট চাওয়াটাকে অন্যায়?” এর অর্থ : “আমাদের চাই হোম অ্যাডভান্টেজ।”শুধু কেকেআর নয়! একই সুরে কথা বলা আরম্ভ করে দিয়েছে চেন্নাইয়ের সিএসকে দলও। নিজেদের ঘরের মাঠে ১৭ বছর পর ( এটা ১৮ তম আইপিএল) আরসিবির কাছে হেরে গেছে সিএসকে। ধোনির দলের কোচ ফ্লেমিং কিন্তু এই একি কথা বলেছেন। যে কথা কেকেআরের কোচ পন্ডিত বলেছেন। “ হোমে খেলছি অর্থাৎ ঘরের মাঠে খেলছি অথচ স্পিনাররা সাফল্য পাবে না কোন সাহায্য পাবে না? উইকেট বুঝতেই পারছি না।“ ব্যাস, খেলা শুরু।

আমি নিজে অবাক হয়ে ভাবছিলাম যে, নিজেদের ঘরের মাঠে যখনই এই দুই দল হারল – তখনই তাদের মনে পড়ল যে তারা হোম অ্যাডভান্টেজ পেল না। আবার সেই অ্যাডভান্টেজের মাত্রাটা কীরকম? ব্যাটসম্যানদের কথা বলছেন না। কোনও পেসারদের কথা বলছেন না। বলছেন স্পিনাররা নাকি সাহায্য পাচ্ছে না। এই ইস্যুটা মাথাচাড়া দিতেই সুজন বাবুর সাথে আলাদাভাবে কথা বলেছিলাম। রাজ্যের প্রাক্তন ক্রিকেটার শুধু নন তিনি – একসময় এই রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার যুগ্ম সচিবও ছিলেন। তিনি যুগ্ম সচিব থাকাকালীন আইপিএল হয়েছে ইডেনে। কেকেআর হোম ম্যাচ খেলেছে। তিনি ভালো মতন জানেন যে হোম অ্যাডভান্টেজ ব্যাপারটা কি। প্রতিবছর “ অতি ধনী বাড়ির মালিক” যদি কোন “অডিটরিয়াম বা হল” বুক করে , সেখানে তাদের কথা তো সব সময় ভাবতে হয়। ইডেন তো কেকেআর ম্যাচ পিছু কোটি টাকা খরচ করে ভাড়া নেয়। যারা ভাড়া দিচ্ছেন , কেন সেই সিএবি এই ধনী দলের কথা ভাববে না! এই দাবি জোরালো হচ্ছে।

ভুললে চলবে না এই আইপিএল টুর্নামেন্টটি কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের একটি প্রপার্টি। একটা বড় ব্র্যান্ড। তাই খুব সচেতন ভাবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে – যেখানে যেখানে খেলা হবে, সেখানকার কিউরেটরদের জন্য একটা গাইডলাইন তৈরি করে রেখে দেয়। সেখানে যে যে কথা খুব স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে , সেখানে একটু এদিক-ওদিক দেখলে বোঝা যাবে হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়ার কথা কোথাও নেই। সেই বাড়তি সুবিধা দিতে গেলে উল্টে আয়োজক সংস্থা অর্থাৎ সিএবি বা চেন্নাই ক্রিকেট সংস্থা ঘোরতর বিপদে পড়তে পারে । প্রত্যেকেই কিন্তু বিপদের মুখে পড়বে। আন্ডার প্রিপেয়ার্ড উইকেট অর্থাৎ খেলার অযোগ্য বাইশ গজ তৈরি হলে মহাবিপদ।

আমি সুজন বাবুর সাথে কথা বলার সময় হাতে নিয়ে বসেছিলাম সেই বোর্ডের নির্দেশিত কিউরেটরদের জন্য নির্দেশাবলী। সুজন বাবু বলছিলেন যে, “এই নির্দেশাবলী মেনেই তো আমরা সবকিছু করেছি।” সুজন বাবু বলছিলেন এর বাইরে হোম অ্যাডভান্টেজ বলতে কেকেআর কর্তৃপক্ষ ঠিক কি চাইছে বা টিম ম্যানেজমেন্ট কি চাইছে এটা এবার বুঝতে হবে। সুজন বাবু, আপনি বা চিপকের যারা উইকেট দেখছেন তারা হোম অ্যাডভান্টেজ দেওয়ার জন্য দুটো ফ্রাঞ্চাইজি ম্যানেজমেন্ট এর থেকে যা বোঝার বুঝুন। কিন্তু প্লিজ ক্রিকেটকে ঠকাবেন না। এখন ইডেনের একটা আইপিএল ম্যাচের ন্যূনতম টিকিটের দাম ৯০০ টাকাতে পৌঁছে গেছে। ঊর্ধ্বতমটা তো বাদই দিলাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে তো মারকাটারি ব্যাটিং। সেটা তো দেখার ব্যবস্থা রাখুন। এই টিম মানেজমেন্টের কথা শুনে হোম অ্যাডভান্টেজ দিতে গিয়ে স্পিনারদের জন্য উইকেট বানাতে গিয়ে এমন উইকেট করবেন না যাতে কুড়ি ওভারে অর্থাৎ ১২০ টা বলে মাত্র একশো কুড়ি রান ওঠে । হ্যাঁ , আমরা নানান ভঙ্গিতে চার ছক্কা দেখতে ভালোবাসি। তাইতো কুড়ি- কুড়ি চল্লিশ ওভারের সাড়ে তিন ঘন্টার ম্যাচ দেখতে কখনও গরম সহ্য করে মাঠে যাই । কখনও যাতায়াতের বিস্তর সমস্যা মাথায় রেখেও মাঠে যাই । যাই তো। এবার বলুন তো, এই স্পিনাররা উইকেট পাবেন এমন উইকেট বানালে – একটা দলের ব্যাটিং যদি হুড়মুড়িয়ে শেষ হয়ে যায় তাহলে আমরা কি দেখতে পাবো? বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, গিল, সূর্যকুমার , ঈশানরা বা আরও অনেকে যারা দাপটে ক্রিকেটটা খেলেন অর্থাৎ ব্যাটিংটা করেন ,তারা যদি ব্যর্থ হন তখন কি উত্তর দেবেন?

আবার ফিরি সেই হোম অ্যাডভান্টেজ দুটি শব্দে। যখন দুটি দেশ নিজেদের দেশে খেলে তখন কিভাবে পরিকল্পনা সাজানো হয়? ধরুন ভারতে অস্ট্রেলিয়া আসছে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক আর কোচ কোথায় কোথায় খেলা হবে সেটা জানার পর সেই কেন্দ্রের কিউরেটরদের সঙ্গে কথা বলে রাখেন। কেমন উইকেট হবে সেটা ঠিক হয়ে যায়। সেই মতো কি দল বাছাই হবে সেটাও ঠিক করেন এই কোচ আর ক্যাপ্টেন। আবার অস্ট্রেলিয়ায় যখন ভারত যায় তখন কিন্তু অজিরাও এটাই করে। অ্যাডভান্টেজ ধরে রাখতে তারা ভারতের জন্য নিশ্চয়ই স্পিনিং উইকেট দেয় না। বাউন্স ভরা, পেসারদের সাহায্য করবে এমন উইকেটে রেখে খেলতে নামে । ভারতকে কিন্তু অস্ট্রেলিয়া গিয়ে সেই অবস্থাতেই খেলতে হয়। বিভিন্ন সময়। ভারতীয় দলের বিভিন্ন ধরনের পারফরম্যান্স কিন্তু দেখা গেছে এই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সেখানে ভারত কিন্তু শুধু টেস্ট জেতে নি ,সিরিজও জিতেছে। আবার হালে নিউজিল্যান্ড-ভারতের টেস্ট সিরিজ দেখুন। এই নিউজিল্যান্ড ভারতে এসেছিল এবং ভারতীয় দল গোহারান হেরেছিল । ভারত নিশ্চয়ই নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের কথা ভেবে তাদের সুবিধামতো পেসারদের জন্য উইকেট বানাবে না। বানায়ও নি। উল্টে বিপক্ষের স্পিনাররাই কুপোকাত করে গেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। আবার অস্ট্রেলিয়াতে দেখুন। ভারতীয় সাফল্য কিন্তু ভারতীয় পেসারদের উপরই নির্ভর করেছে। বুমরাহ – সামিদের সঙ্গে বাকিরা দাপটে বল করে গেছে। সঙ্গে বিরাট – রাহানে – রোহিত – গিল – রাহুল – যশস্বী – পন্থরা সঙ্গ দিয়েছে। আসলে এই প্রসঙ্গগুলো টেনে আনার একটাই কারণ। আপনাদের সাথে শেয়ার করা যে – সবকিছু সাফল্য নির্ভর করে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদেরকে প্রয়োগ করার কৌশলের উপর। এটা খুব জরুরী। আমি হলফ করে বলতে পারি, আইপিএলে কেকেআর যখন ক্রিকেটার কেনা বেচা করেছিল, তার আগে কিন্তু ইডেনের কিউরেটরের সঙ্গে কোন কথাই বলেনি। বলেননি তারা কেমন উইকেট চান। সেই উইকেটের কথা ভেবে তারা অকশনে কি ধরনের ক্রিকেটার কিনবেন, সেটা তারাই জানতেন। সিএবি বা ইডেন কিউরেটর জানতেন না। তাহলে….?আরো একটি কথা, গতবার তো এই কেকেআর চ্যাম্পিয়ন। মনে তো পড়ছে না এই ধরনের হোম অ্যাডভান্টেজ নিয়ে হাউমাউ করে কথাবার্তা তো কোথাও কখনো বলেনি এই কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট! তাহলে এবার কেন? এটা কি অন্য খেলা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা? খুব সূক্ষ্ম বুদ্ধি বা মার্কেটিং পলিসি এই খেলা খেলছে। ইডেনের প্রথম সারির কর্তারা বলছিলেন, তারা নাকি টেরই পাননি এবারে ম্যাচের টিকিটের দাম ৩০ থেকে ৬০% বেড়ে যাবে। প্রায় ৬৫ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট ইডেনে যদি এই পরিমাণের টিকিটের দাম বাড়িয়ে থাকে কেকেআর তাহলে বোঝাই যায় এ বছরে তাদের মুনাফা লোটার তাগিদটা কতটা। তাই কি শুরু থেকেই অন্য ধরনের খেলা খেলছে এই কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট? যাতে কেকেআরের ফ্যানরা খেলা নিয়েই মত্ত থাকেন। তারা জয় দেখতে পাচ্ছেন না ঘরের মাঠে, এই নিয়ে হল্লা চলে? যাতে তারা একজোট হয়ে বিক্ষোভ না দেখায় যে এত টিকিটের দাম কেন? আমি যদি বলি মাঠের বাইরে “হোম অ্যডভান্টেজ” মানতে রাজী নয় কেকেআর। ভুল বলা হবে না – এটাই মনে হয় আমার। যে দল চ্যাম্পিয়ন হয় সাধারণত সেই দলের অধিনায়ককে ধরে রাখার চেষ্টা হয়। দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সফল ব্যাটসম্যানকে ধরে রাখার চেষ্টা হয়। এমন কিছু প্লেয়ারকে ধরে রাখার চেষ্টা হয় – যারা একা হাতে ম্যাচ মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কেকেআর কি এই ক্রিকেটার কেনা বেচার মঞ্চে সেই কাজটা করেছিল? উত্তর আমরা শুরু থেকেই পেতে শুরু করেছি। আরেকটু এগুক এই টুর্নামেন্ট। এর উত্তর আরো স্পষ্ট হবে। আরেকটা কথা , প্রতিবারের মতো এই টুর্নামেন্ট যখন মাঝামাঝি পর্বে পৌঁছবে – তখন কোন কিউরেটরকে আর স্পিনারদের সহায়ক উইকেট বানাতে বলা হবে না। অধিকাংশ উইকেট থেকেই স্পিনাররাই সাফল্য পাবেন। কারণ এই গরমে ভারতে ক্রিকেট হলে সেখানে বরাবরই দেখা গেছে স্পিনাররাই দাপট দেখায়।

বিচিত্র এই দুটো শব্দ । হোম অ্যাডভান্টেজ। “বাড়িতে বাড়তি সুবিধা“ । আমার আপনার সংসারের কথা ভাবুন । ঘরে থাকলে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না? করেন। কিন্তু সেই ঘরের কোনটি কি সব সময় আপনার সাফল্য বা আনন্দের পরিবেশ ধরে রাখে? সংসারে বা এই ঘরের কোনে বাড়িতে কিছু ইস্যুতে ঠোকাঠুকি লাগে না? বাদ দিন ঘরের কথা। এই যখন বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন হয় – সে লোকসভা হোক আর বিধানসভায় হোক তখন হোম অ্যাডভান্টেজ সব দল কি পায়? কিন্তু সাফল্য যারা পায় তারা কিন্তু এই হোম অ্যাডভ্যান্টেজকে ব্যবহার করার জন্য কৌশলটা আগে সাজিয়ে রাখে। এই রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু মোটেই এলেবেলে নয়। সব দলই তার হোম অ্যাডভান্টেজটা ভালো মতন বোঝে। সেই বুঝেই অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা সাজায় এবং শুধু সাজানো নয় তার প্রয়োগ কৌশল ঠিক করা থাকে। তাই আমার মনে হয় জীবনে এই “হোম অ্যাডভান্টেজ” আদায় করতে গেলে আগে কৌশলটি সঠিক রাখতে হয়। আর তারপর আসল খেলার মালিক তো খেলার কুশীলবরা। সংসারে স্বামী স্ত্রী। খেলার মাঠে ম্যাচ উইনাররা। আর রাজনীতির মঞ্চে তারকা প্রার্থীরা। এই হোম অ্যাডভান্টেজ, তাহলে – কখনও ব্যর্থতায় “ভেজ” আর সাফল্যে “ ননভেজ” ! কি বলেন?

ছবি: সৌ – কেকেআর/ StarSports

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *