PinnacleNews Desk:
ধন্যবাদ #cricketassociationofbengal #CAB। একটি অ্যাপ দিয়ে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেটের সব ম্যাচের লাইভ স্কোর দেখায়। সেখানে আজ দুটি ম্যাচের স্কোর দেখে হতবাক হয়ে এই প্রতিবেদন। প্রথম ডিভিশন লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ কোয়ালিফায়ার নক আউট খেলা শুরু হয়েছে। ১৩৩ ওভারে তিন দিনের ম্যাচ । সঙ্গে একটা রিজার্ভ ডে। যে #dalhousie ক্লাব লিগের খেলায় ৩০০-৪০০ করে রান করেছে, যে দলের এক ব্যাটার ডবল সেঞ্চুরি করে, সেই দল ৫৮ রানে অলআউট!! প্রতিপক্ষ ময়দানের ‘রবি – দা’র ক্লাব শিবপুর। প্রথমদিনেই চা পান বিরতির আগে ম্যাচ শেষ!!!
খেলা দেওয়া হয়েছিল কল্যাণীতে সিএবির নিজের একাডেমি মাঠে! #BCA এর জন্য সংস্থায় আলাদা কমিটি আছে। সেই কমিটির চেয়ারম্যান যিনি, তিনি #ComeSeptember ( বার্ষিক সাধারণ সভায় যদি নির্বাচন হয়) #Ganguly শিবিরের #secretary হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন!
আরেকটি মাঠ – #বারাসাত #adityaacademy মাঠ। সেটিও যাবতীয় অর্থ দিয়ে দেখভাল করে সিএবি। সেখানে খেলছিল, ইস্টার্ন রেল আর স্পোর্টিং ইউনিয়ন। সেই ম্যাচে রেল দলের ইনিংস শেষ মাত্র ৭৭ রানে!!!সিএবি বাংলার ক্রিকেটের উন্নতি করবে? এই তার নমুনা।
নিজেদের টাকায় চলা দুটো পরিকাঠামো দূরে বলে, গ্রাউন্ড সাব কমিটির চেয়ারম্যান যান কতবার? বরঞ্চ #টাউনক্লাব ময়দানে বেশি সময় দেন। এই চেয়ারম্যান সেই কবে থেকে সিএবির সঙ্গে নানান ভাবে রয়েছেন। রাজ্যের দাপুটে প্রাক্তন ক্রিকেটার। ক্রিকেটার দারুন দক্ষ ছিলেন। এখন যদি ওনার শেষ দশ বছর সংস্থার গাড়ি চড়ার বিল ঠিক মতো পরীক্ষা করা হয়, তাহলে তা এক কোটি ( ১o লাখ টাকা বছরে) টাকা হলে, অবাক হব না। শুনেছি, তিনবছর আগে উনি সংস্থার যুগ্ম সচিব হতে পারেননি বলে, এখন শিবির বদলে লড়ে যাচ্ছেন চেয়ার পেতে। কি করবেন চেয়ারে বসে? এই তো উইকেটের হাল। মাঠ – উইকেট ঠিক মতো দিতে পারেন না। মাটি ফেলা নিয়ে মরসুমের শুরুতে সচিবের সঙ্গে লড়াই করেন ( সূত্র মতে)। কি হচ্ছে এই ক্রিকেটারদের হাল? ময়দানের চালু কথা হল, গরমের ক্রিকেটই আসল। সেই ক্রিকেটে যে যে ক্রিকেটার ভালো খেলবে, তারাই আসল ক্রিকেটার। আপনারা, সিএবির কর্তারা তাদের খেলার জমিটাই তো কেড়ে নিচ্ছেন!
সিএবির চিফ কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, দুটি মাঠেই উইকেট ঠিক ঠাক ছিল। ফোনে বলেছেন: ” সিএবি এখন সব ম্যাচের ভিডিও রেকর্ডিং করে। দেখে নেবেন, কে কেমনভাবে আউট হয়েছে। আসল সমস্যা ক্রিকেটারদের মানসিকতার। আর ক্লাব কর্তাদের ভাবনায়। ” সত্যি যদি রেকর্ড করা ভিডিও দেখার পর মনে হয় ক্রিকেটাররা খেলতে চাননি, তাহলে? সিএবি কি নীরব দর্শক হয়ে থাকবে? বাইরের মাঠে খেলা দিলেই যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্যে ক্রিকেট সংস্থা। ক্লাবের একটাও পয়সা খরচ নেই। তাহলে কেন এমন নির্লজ্জ ক্রিকেট? অফিস দল #ERSA, রেল দল #NSI প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়েই বিদায় নিয়েছে। আরেক রেল দল #BNR অবনমনের লড়াই শুরু দিয়েছে নিজেদের বাঁচাতে। এইসব অফিস ক্লাব থেকে যাঁরা সিএবিতে প্রতিনিধি হয়ে আসেন, তাঁদের কেন এমন ক্রিকেট খেলার পর তোয়াজ করা হবে? কেন ভালো খেললে ইনসেনটিভ পাওয়া গেলে, এমন ক্রিকেট খেলার জন্য আর্থিক জরিমানা করা হবে না?
ছিঃ।